Wednesday, August 27, 2014

বেহাগ যাদি না হয় রাজী

D#
বেহাগ যাদি না হয় রাজী বসন্ত যদি না আজ আসে
এ আসরে ইমন তুমি থাকো বন্ধু আমার পাশে।।

তোমার সুরের হাতটি ধরে চলো চলে যাই
যেখানেতে আনন্দ রাগ বাজে গো সদাই
কথার ফুলে সুরের ভ্রমর যেথায় মিলন সুখে হাসে।।

চোখের দেখা যাক ফুরিয়ে ক্ষতি কিছু নাই
সপ্ন দেখার নাই সীমানা দেখে যাবো তাই
ভালোবাসাই শিখেছে মন তাইতো শুধুই ভালোবাসে।।


শিল্পী: মান্না দে
গীতিকার: পুলক বন্দোপাধ্যায়
সুরকার: অধীর বাগচি
ছবি: দুই পুরুষ (1978)


আজ আবার সেই পথে দেখা হয়ে গেল

আজ আবার সেই পথে দেখা হয়ে গেল
কত কথা সুর গান মনে পড়ে গেল
বল ভালো আছো তো (২)।।

কদিন আগেএমন হলে কটা দিন আরো বেশী পেতাম
আরো আকাশ আরো বাতাস লিখে দিতো তোমারি নাম
সুধু আমি নয় ওরা সবাই ডেকে ডেকে বলে যেত কতো।।

জানি তোমায় আপন ভাবার কোন অধিকার নেইযেগো আর
এও জানি দেখা হওয়াই কতো বড় ভাগ্য আমার
শুধু বলো আজ আমায় ভুলে সুখী তুমি হয়েছো কতো ।।

তীর ভাঙ্গা ঢেউ আর নীড় ভাঙ্গা ঝড়

তীর ভাঙ্গা ঢেউ আর নীড় ভাঙ্গা ঝড়
তারি মাঝে প্রেম যেন গড়ে খেলা ঘড়।।

চাঁদ আসে তাই যেন উল্লাসে ঐ
রঙের মাধুরী লয়ে ফুল হাসে ঐ (২)
নিকটে পানে চাহি দুর কাদে গো(২)
অ দেখার বাঁশরী যে সুর সাধে গো (২)
সব শেষে পল্লবে জাগে মর্মর।।

তৃষ্ণারে কাছে ডাকে মরু মায়া গো
ক্লান্তিরে মুছে দেয় তরু ছায়া গো (২)।

চিরদিনই রয় ব্যাথা বন্ধনে হায়
হাসি যেন মিশে আছে ক্রন্দনে হায় (২)
সৌরভ গৌরবে ধুপ জ্বলে ঐ
আলো আর আঁধারের খেলা চলে ঐ(২)
অন্তরে ধু ধু করে শুধু বালু চর।।

প্রখর দারুন অতি দীর্ঘ দগ্ধ দিন

প্রখর দারুন অতি দীর্ঘ দগ্ধ দিন
যত দুরে চাই নাই শুধু নাই
দিকে দিকে শুধু নাই নাই নাই।।

শুস্ক কানন তরু শাঁখে
বিরস কণ্ঠে পাখি ডাকে (২)
বুক ফাটা পিয়াসায় অগ্নি আকাশ পানে চাহে সদাই।।

হায়রে স্রোতস্মিনী এমন শীর্না তোরে
দেখিনি তো আর কোন দিন (হায়রে)।

বক্ষে মরন যাচে আশা
নিরব মৌন যত ভাষা
এক ফোটা অশ্র“র শান্তনা খুঁজে তবু দুহাত বাড়াই।।

আমি সারা রাত শুধু জেগে কেঁদেছি

আমি সারা রাত শুধু জেগে কেঁদেছি
বুঝিনি এভাবে তুমি চলে যাবে
জানিনা কি অপরাধ করেছি।।

পারিনি কিছুতে নিজেকে বোঝাতে
কি ভুলে সবই যে হল হাড়াতে
পারিনি সে রাতে তোমায় ফেরাতে
ঢেকেছি এ আখি শুন্য দুহাতে
তবেকি ভুলেরি সর্গই গড়েছি (২)।।

জানিনা কি পেলে তুমি এ খেলাতে
সুখেরি ছবিটি ছিড়ে ফেলাতে
জানিনা তোমাকে আমি কি দিয়েছি
কিযে চেয়েছি কিবা পেয়েছি
চোখেরি জলে তে মুক্তই যে ধরেছি (২)।।

এ নদী এমন নদী

D#
এ নদী এমন নদী জল চাই একটু যদি
দুহাত ভরে উষ্ণ বালু দেয় আমাকে
এ প্রিয়া এমন প্রিয়া সোহাগে ভরলে হিয়া
কেবলি কেবলি বিদ্রুপ আর বাঁকা কথাই বলতে থাকে।।

এ প্রিয়ার চোখের পাতা ছায়াতে হয় না কালো
কখোনো নয়ন তারায় ঝড়েনা স্নিগ্ধ আলো
সুধু যে জ্বলে আগুন 
তবু তার এমনি গুন
পুড়বে জেনেও মনযে আমার 
তাকেই দেখে তাকেই দেখে।।

এ প্রিয়ার নেইতো জানা ক্ষমা যে কাকে বলে
মমতা করুনা সে যতনে এড়িয়ে চলে (২)
গরলে ভরা সে প্রান (২) তবু তার এমনি টান
মরবে জেনেও এ প্রান আমার চায় যে তাকে
চায় যে তাকে।।

চাঁদ দেখতে গিয়ে আমি

আকাশ পানে চেয়ে চেয়ে
সারা রাত জেগে জেগে দেখেছি অনেক তারার ভিড়
অরুন্ধতী স্বাতী সপ্তঋষির খেলা, সব দেখেছি।

শুধু-
চাঁদ দেখতে গিয়ে আমি তোমায় দেখে ফেলেছি (২)
কোন জোছনায় বেশি আলো এই দোটানায় পড়েছি।।

বন্ধুরা সব বলে এমন ধারা হলে চোখ নাকি আর সারেনা(২)
যদি হটাৎ এমন করে কারো চোখেতে চোখ পড়ে
তবে দৃষ্টি নাকি ফেরেনা
বল তাহলে কি আমার এ চোখ নষ্ট আমি করেছি।।

বন্ধুরা সব বলে এমন ধারা হলে ঘোর নাকি আর কাটেনা
আমার প্রানটা জ্বলে মরে, মন কেমন যেন করে
আমার কিছুই ভালো লাগেনা
তাই চিন্তা করে পাইনা বুঝে বেঁচেছি কি মরেছি ।।

মিষ্টি একটা গন্ধ

F

মিষ্টি একটা গন্ধ রয়েছে ঘর টা জুড়ে
কেউ না জানি এসে কারুকে না পেয়ে
গেছে কি ঘুরে।।

এলোমেলো করে ছড়ানো ছিলো যা
কার দুটি হাত সাজিয়ে দিলো তা (২)
চিনি কি চিনি না কোথায় সে থাকে
কাছে না দুরে।।

ফুল দানিটার রূপ ফিরে গেছে (২)
কি করে বলি কেন
রেখে গেছে সদ্য ফোটানো পদ্মকলি (কেন)।।

পুরানো দ্বিপের কাজল মুছিয়ে
নতুন শিখাটি গেছে জ্বেলে দিয়ে (২)
কি পেয়ে হাড়ালো নিশি হাওয়া তাই মরে ঘুরে।।

ললিতা গো

C

ললিতা গো
ওকে আজ চলে যেতে বলনা
ওঘাটে জল আনিতে যাবোনা যাবোনা
ও সখি অন্য ঘাটে চলনা।।

দিবালোকে সে আমার নাম ধরে ডাকে
আমাকে সবাই দোষে সে সাধু থাকে
অসময় সময় কিছু কেন সে বোঝে না।।

নিশি রাতে বাঁশী তার সিঁদকাঠি হয়ে
চুপিচুপি ঘরে এসে বাজে রয়ে রয়ে
যখনি ডাকবে সে তখনি যেতে হবে
আমি কি এমনতর খেলনা।। 

দ্বীপ ছিলো শিখা ছিলো

C#
দ্বীপ ছিলো শিখা ছিলো
শুধু তুমি ছিলেনা বলে আলো জ্বললো না
ভাষা ছিলো কথা ছিলো
কাছে ডাকলে না বলে মন কথা বলল না।।

ঝরনা কেমনে হয় নদী (২)
সাগর না ডাকে কভু যদি
তাই যেতে যেতে থামলো সে বয়ে চলল না।।

বুক ভরা আশা নিয়ে মন আমার শুধু শুধু কাছে এল
পারলো না দিতে কিছু উপহার।

যে মালার ফুল গেছে ঝরে
রেখেছি সে ফুল বুকে করে
তাই এই ফুল রয়ে গেল কেউ দলল না।।

কথা দাও আবার আসবে

F
কথা দাও আবার আসবে
এমনি করে ভালোবাসবে
দিন যাক সেই ভরসায়।।

এবরষা হয় হোক সাড়া
থেমে যাক এই বারি ধারা
আবার নদীর কুল ভাসবে
একদিন নব বরষায়।।

শুধু এই কথাটুকু নিয়ে
এ বিদায় দেব খুশী হয়ে
আবার নয়ন দুটি হাসবে
সপ্নের এক দুরাশায়।।

কেন ফিরে যায় বেদনায় অভমানীনি


কেন ফিরে যায় বেদনায় অভমানীনি
আমিও কি তার মতো
দু’চোখের জলে ওই ভাসিনি।।

বলেছি তো কতোবার
সে আমার সে আমার.....
হেরেছে একাই সেকি
আমিও কি পরাজয় মানিনি।।


যদি আমি পারতাম
সুখের সর্গটাকে
হাতের মুঠোয় ধরে রাখতাম।

মধুর এ মাধবী সাজ
বিফলে যাবে কি আজ
একটু দাড়িয়ে সেকি
শুনবেনা আমার এ কাহিনী।।

ক’ফোটা চোখের জল

ক’ফোটা চোখের জল ফেলেছো যে তুমি ভালবাসবে
পথের কাঁটায় পায় রক্ত না ঝড়ালে
কি করে এখানে তুমি আসবে।।

ক’টা রাত কাটিয়েছো জেগে সপ্নের মিথ্যে আবেগে (২)
কি এমন দুঃখকে সয়েছো যে তুমি
এত সহজেই হাসবে।।

হাজার কাজের ভীরে সময় তো হয়নি তোমার
শোননি তো কান পেতে অষ্ফুট কোন কথা তার।

আজ কেন হাহাকার করো সেকথাই ইতিহাস গড়ো
কি সূখ জলাঞ্জলি দিয়েছো যে তুমি সুখের সাগরে ভাসবে।।

জানি তোমার প্রেমের যোগ্য আমিতো নই

জানি তোমার প্রেমের যোগ্য আমিতো নই
পাছে ভালোবেসে ফেল তাই
দুরে দুরে রই।।

আমার এ পথে শুধু আছে মরুভুমি ধু ধু
আমি কি ভাবে বাচাবো তোমার মাধবী ঐ।।

কতো পেয়ালা লাঞ্চনার আমি নীরবে করি যে পান
আর যারা সুধা নিয়ে চলে তুমি গাও গো তাদেরি গান।

এমনি বিভেদ কতো মনে আসে অবিরত
দুটি ভিন্ন জীবন যেন না মিলিত হই।।

যদি কাগজে লেখো নাম

C#

যদি কাগজে লেখো নাম কাগজ ছিড়ে যাবে
পাথরে লেখো নাম পাথর খয়ে যাবে
হৃদয়ে লেখো নাম সে নাম রয়ে যাবে।।

হৃদয় আছে যার সেইতো ভালবাসে
প্রতিটি মানুষেরই জীবনে প্রেম আসে
কেউ কি ভেবেছিলো শ্যামকে ভালোবেসে
রাধার ভালেবাসা কাহিনী হয়ে যাবে।।

গভীর হয়গো যেখানে ভালেবাসা
মুখেতো সেখানে থাকে না কোন ভাষা
চোখের আড়ালে মাটির নীচে ঐ
ফলগু চিরদিনই নিরবে বয়ে যাবে।।

গভীর হয়েছে রাত পৃথিবী ঘুমায়

গভীর হয়েছে রাত পৃথিবী ঘুমায়
হয়তো তুমিও গেছ ঘুমিয়ে
শুধু আমার দুচোখে ঘুম আসেনা (২)
কেন ঘুম আসেনা
বুঝি ঘুমের সে রাত গেছে ফুরিয়ে।।

যে রাতে এ মন আসে মনের কাছে
দু’হাত জড়িয়ে ধরে হারায় পাছে
কিছু পায় কিছু আরো দিয়ে যেতে চায়
কামনার দুই কুল ভাসিয়ে।।

এই রাতে আধার চিরে একটু পরেই জানি আলোক উঠবে
সপ্নের মায়া মাখা তোমার আচল জুড়ে
এক মুঠো সোনা রোদ হেসে উঠবে।

জেন তবু কিছু আর আমি চাইবোনা
তোমায় শোনাতে গান আর গাইবোনা
এ রাতে আমি একা কেউ সাথী নেই
তাই বুঝি ঘুম গেছে হাড়িয়ে।।

যদি এখোনো আমাকে শুধু ভালো লাগে D#

D#

যদি এখোনো আমাকে শুধু ভালোলাগে
ভালো না বাসো মন্দ কি
চোরা চাউনিতে যদি দুর থেকে দেখ কাছে না আসো
বেশ বেশ তাইবা মন্দ কি।।

যদি ও মুখের ভার পাথর করে
ঘোরোফের সারাদিন নিজের ঘরে (২)
যদি চোখের তারায় শুধু হাসো একবার
মুখে না হাসো মন্দকি।।

তোমার জানলার পর্দাটা বাতাস উড়িয়ে
নিয়ে পালায় যখন
আমার এ ঘর থেকে তোমার ঘরটা দেখি
ভরিয়ে নয়ন।

দেখি আয়নার সামনেতে দাঁড়িয়ে থেকে
কাউকে না দেখে শুধু দেখ নিজেকে
যদি আমাকে ভাসাও আরো সপ্নে তোমার
নিজে না ভাসো মন্দকি।। 

না না যেওনা

Cm
না না যেওনা(২) ও শেষ পাতাগো
শাখায় তুমি থাকো
ছিলে তুমি ছিলাম আমি (২)
চিহ্নটি তার রাখো।।

উত্তর বায় করুক শাষন যাক ঘুচে যাক সবুজ আসন
শেষ বেলাকার অশেষ নিয়ে
স্মৃতির ছবি আঁকো।।

ওই পাতাটায় অমর হবে তোমার আমার কথা
পাশাপাশি থাকবে তোলা আনন্দ আর ব্যাথা
তোমার আমার কথা
ওই পাতাটায় অমর হবে আনন্দ আর ব্যাথা।

বসন্ত দিন আসবে যখন ফুল হয়ে নয় ফুটবো তখন
হিমেল রাতের দুঃখ তোমার ভুষন করে ঢাকো।।

মেনেছি গো হার মেনেছি

মেনেছি গো হার মেনেছি
তব পরাজয় মোর পরাজয় বারেবারে তাই জেনেছি।।

ফাল্গুনে ধরা দিলো যে মলয়
কুসুমে গন্ধে বাজে বাজে তারি জয়
দুরে গিয়ে যত কাঁদানু তোমায় (২)
বেদনা কুড়ায়ে এনেছি।।
অভিমান আজ ভুলেছি
ক্ষমা করো যদি থেকোনা দাঁড়ায়ে রুদ্ধ দুয়ার খুলেছি।

এনেছো ভরিয়া তব তনুমন কোন অমরার আনন্দ ঘন
তোমারে নহেগো হেলায় আঘাত আপনারি বুকে হেনেছি।।

খুব জানতে ইচ্ছে করে Fm

Fm
খুব জানতে ইচ্ছে করে (২)
তুমি কি সেই আগের মতই আছো
নাকি অনেক খানি বদলে গেছ
খুব জানতে ইচ্ছে করে (২)।।

এখনো কি প্রথম সকাল হলে
স্নানটি সেরে পুজার ফুল তুলে পুজার ছলে আমারি কথা ভাবো
বসে ঠাকুর ঘরে।।

এখানো কি সন্ধাবেলা
আমার বাড়ি ফেরার সময় পেড়িয়ে গেলে
অনেক অভিমানে চোখ দুটো কি জলে ভরে।।

এখানো কি রাত নিঝুম হলে
শরৎ কাহিনী পাশে খোলা পরে থাকে
ব্যাকুল তিয়াসে আমারি পিয়াসে
অন্তর কেঁদে মরে।।

সোনালী রং মেখে

সোনালী রং মেখে পাখীরা যায় নীড়ে
তাই দেখে বলে মন এসো তুমি ফিরে।।

তোমার আশার খবর নিয়ে সন্ধাতারা জাগে
বাতাসের ই দিলরুবাতে খুশীর সুর লাগে
ঘুমিয়ে থাকা স্মৃতি জাগে বুকে ধীরে ধীরে।।

দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে যায় ঝরে ফুল গুলো
কখন আমায় যায় ছুয়ে যায় সেদিনেরি ভুল গুলো
মেঘের ফাকে চুপি চুপি আলোর খেলা চলে
আশার ই দ্বীপ বুকে তখন হঠাৎ ওঠে জ্বলে
চেনা সুরের ছোয়া লাগে আমার গানের নীরে।।

শুধু একদিন ভালোবাসা

শুধু একদিন ভালোবাসা মৃত্যু যে তার পর
তাও যদি পাই আমি তাই চাই
চাইনা বাচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর (২)।।

যদি ও চোখে রশ্নি জ্বালো শুধু একবার (শুধু একবার)
আমি তাতেই পোড়াতে রাজি যা কিছু আমার
আমি চাইনা দেখতে ওই প্রানহীন চোখের পাথর।।

ভাগ্যের দরবারে দুহাত পেতে
আমি চাইনা পুন্য ফলে সর্গে যেতে
ওই সর্গকে ধরে ফেলি হাতের মুঠোয়
যদি একবার হাত খানি রাখো এ হাতে।

যদি উপহার দিয়ে ফেল একটাও ফুল (একটাও ফুল)
যদি একবার করো কোন সামাজিক ভুল
সেই ভুলেই ভাবতে রাজি
এই ঘর সুখের বাসর।।

পৌষের কাছাকছি

D#m
পৌষের কাছাকছি রোদ মাখা সেই দিন
ফিরে আর আসবে কি কখোনো
খুশী আর লজ্জার মাঝামাঝি সেই হাসি
তুমি আর হাসবে কি কখোনো (২)।।

অনুযোগ কার নাম না জেনে
অধরেতে কোন সাড়া না এনে
দেখা আর না দেখার কাছাকছি কোন রং
চোখে আর ভাসবে কি কখোনো।।

কাব্যকি কথা সে ভাববো কি বিলাসে
মায়া জাল খুলবো কি তখোনো
দু একটি পাখিদের
সে কাকলী সুনবো কি তখোনো

সে বাতাস বাশী কিগো বাজাবে
সে আবেশ মনে মনে সাজাবে
বোঝা আর না বোঝার কাছাকছি কোন গান
ভালো আর বাসবে কি কখোনো।।

তোমার নিশ্বাসে বিষ

তোমার নিশ্বাসে বিষ ছিলো আমি বিশ্বাস করিনি
ওরা বলেছিলো বহুবার কারো কথা কানে তুলিনি।।

রূপ এত সুন্দর যার ভাবিনি এমন কালো হবে অন্তর তার
তোমারি তো মালা পরেছি (২)
আর কারো মালা পরিনি।।

বাইরে তে এত সোনা এত খাদ ভেতরে (২)
যাচাই না হলে আমি বুঝতাম কি করে।

গান এত সুমধুর যার ভাবিতি মুখের কথা এত নিষ্ঠুর তার
আমি জেনেশুনে মরেছি (২)
কিছু না জেনে তো মরিনি।।

যদি প্রশ্ন করি

যদি প্রশ্ন করি সব চেয়ে মিষ্টি কি হয়তো বলবে মধু
না গো না আমি বলবো তুমি আমার বাসর ঘরের বধু।।

যদি প্রশ্ন করি সব চেয়ে গভীর বলো কি
বলবে ভালোবাসা (২)
না গো না আমি বলবো তুমি
তোমার চোখের নীরব ভাষা (২)।।


যদি প্রশ্ন করি সব চেয়ে আনন্দ দেয় কি
হয়তো বলবে সুখ
না গো না আমি বলবো তুমি তোমার লজ্জা মাখা মুখ।

যদি প্রশ্ন করি সব চেয়ে প্রিয় বলো কি
হয়তো বলবে গান (২)
না গো না আমি বলবো তুমি তোমার অবুঝ অভিমান।

তুমি নিজের মুখে বললে যেদিন

তুমি নিজের মুখে বললে যেদিন
সবই তোমার অভিনয়
সত্যি কোন কিছু নয়
আমি দুঃখ পেলেও খুশী হলাম জেনে।।

আমি মানুষ চেয়েই করেছিলাম ভুল
তুমি ছিলে শুধু রং করা পুতুল
আমার ভুল ভাঙ্গাতে ধুলো হয়ে পরলে যে তাই ভেঙ্গে।।

আনন্দ আর নেই গো যেখানে
শুধু মুখের হাসি সাজিয়ে রেখে কাজ কি সেখানে।

এই বুকের জ্বালা বুকেই গোপন করে
বল লাভ কি হবে নকল মালা পড়ে
যখন সাজানো ঐ মনের ওপর পরদা দিলে টেনে।।

দ্বীপ ছিলো শিখা ছিল

দ্বীপ ছিলো শিখা ছিল
শুধু তুমি ছিলে না বলে আলে জ্বললো না
ভাষা ছিল কথা ছিল
কাছে ডাকলেনা বলে মন কথা বললো না।।

ঝরনা কেমনে হয় নদী
সাগর না ডাকে কভু যদি
তাই যেতে যেতে থামলো সে বয়ে চলল না।।

বুক ভরা আশা নিয়ে মন আমার
শুধু শুধু কাছে এলো
পারলো না দিতে কিছু উপহার।
যে মালার ফুল গেছে ঝড়ে
রেখেছি সে ফুল বুকে করে
তাই এই ফুল রয়ে গেল কেউ দলল না।।

সবাই তো সুখী হতে চায় C#

C#

সবাই তো সুখী হতে চায়
তবু কেউ সুখী হয় কেউ হয়না
জানিনা বলে যা লোকে সত্যি কিনা
কপালে সবার নাকি সুখ সয়না।।

আশায় আশায় তবু এই আমি থাকি
যাদি আসে কোন দিন সেই সুখ পাখি (২)
এই চেয়ে থাকা আর প্রানে সয়না।।

ভালবেসে সুখী হতে বল কেনা চায়
রাধা সুখী হয়েছিল এই শ্যামরায়।

আমি ও রাধার মত ভালবেসে যাবো
হয় কিছু পাবো নয় সবই হাড়াবো
এই চেয়ে থাকা আর প্রানে সয়না।।

সহেলী গো

C

সহেলী গো কিনামে তোমায় বলো ডাকি
ফাগুনি তুমি না বৈশাখী
বলনা আমায় তুমি শুধু একবার
মহুয়া না মৌমিতা কিনাম তোমার।।

তোমায় দেখেযে মনে হয় এত সুন্দর কেউ নয়
বুঝিগো প্রথম প্রেম উঁকি দিল জীবনে আমার (২)
শ্রীমতি না শর্বরী কিনাম যে রাখি গো তোমার।।

এই কথাটাই গেছি বুঝে
তোমায় পেলেই আমি জীবনের মানে পাবো খুজে (২)
কাছে কবে পাবো যে তোমায় দিন যায় সেই ভাবনায় (২)
জীবনের সঙ্গীনি হবে তুমি যেদিন আমার (২)
বঁধু নাম দেব আমি সেদিন তোমার।।

তুমি নয় নাই কাছে আসলে

তুমি নয় নাই কাছে আসলে
আমায় নাই বা ভালে বাসলে
তাই বলে আমি কিগো ভালবাসবো না
আমি কেন কাছে আসবো না।।

মেঘে নয় আকাশটা ঢাকলো
চাঁদ নয় আড়ালে থাকলো (২)
নদী কেন ভরবে না জোয়ারে
সেই স্রোতে আমি কেন ভাসবো না।।

আখি নয় সপ্নকে ভুললো
অশ্র“ই শুধু ভরে তুলল
মন কেন দেখবে না সপ্ন
সেই সুখে আমি কেন হাসবো না।।

তোমার ঐ হাসিতে

তোমার ঐ হাসিতে কিদারুন জ্বালা
যে জ্বলে সেই জানে তুমি শুধু জাননা
ও চোখের চাউনিতে (২) মরনের ইশারা
যেই দেখে সেই মরে তুমি শুধু মানোনা।

এ জ্বালা কভু আর কেউ যেন পায়না
আমি ছাড়া ঐ চোখে কেউ যেন চায়না (২)
মরতে যে চাই আমি (৩) একা ঐ মরনে
আর যেন কাউকে সই ও মরনে মেরনা।।

প্রনয়ের এ খেলায় হারি জিতি নেই লাজ
দেউলিয়া হয়ে আমি হতে চাই মহারাজ (২)
এবুকে বারে বারে (৩) আসে তাই কামনা
একবার মুখে বলো তুমি আর কারেনা।।

রঙ্গিনি কত মন

F

রঙ্গিনি কত মন মন দিতে চায়
কি করে বোঝাই কিছু চাইনা চাইনা চাইনা
সন্দেহে ভরা হোক তোমার দুচোখ
আর কারো চোখে আমি চাইনা চাইনা চাইনা।।

হাতে থাক বেমানান কাকনের ধার
ও হাতেই দেখি তবু ভাগ্য আমার (২)
কাব্যের ভুল থাক তোমার গানের
আর কারে গান আমি গাইনা।।

ঝলমল করে ওঠে কত চাঁদমুখ
সুর্যের ধার করা রুপের আলোয়
এক অতি সাধারন মুখ দেখি আমি
যে রয়েছে ভরপুর মন্দ ভালোয়।

হাজার গন্ধ তোলে প্রশ্নে ঝড়
দ্বিধায় কাঁপেনা তবু প্রানের এ ধর (২)
আমি বলি ছোট হোক এযে ভালোবাসা (২)
পৃথিবী ডাকুক তবু যাই না।।

তুমি একজনই শুধু বন্ধু আমার

C#

তুমি একজনই শুধু বন্ধু আমার 
শত্র“ও তুমি একজন তাই
তোমাকেই ভালে লাগে তোমাকেই ভালে লাগে
তুমি আমার পুর্নিমা রাত তুমি চন্দ্র গ্রহন তাই
তোমাকেই ভালে লাগে তোমাকেই ভালে লাগে।।

ওই দুটি হাত যেমন আমায় টেনে নিয়ে যায় মরনে
তেমনি আবার ও হাত ধরেই ফিরে আসি আমি জীবনে
যে নয়ন জ্বলে দারুন আগুন বৃষ্টিও দেয় সে নয়ন তাই
তোমাকেই ভালে লাগে তোমাকেই ভালে লাগে।।

তোমায় পেয়ে এই মনে হয় কানায় কানায় ভরেছি
এই মনে হয় সব হাড়িয়ে শুন্য আমায় করেছি
যে সাপের মনি দেয়গো আলো সেই যে করে দংশন তাই
তোমাকেই ভালে লাগে তোমাকেই ভালে লাগে।।

আমি যে জলসা ঘরে G#

G#
আমি যে জলসা ঘরে বেলোয়ারী ঝাড়
নিশি ফুরালে কেহ চায়না আমায় জানি গো আর।।

আমি যে আতর ওগো আতর দানে ভরা
আমারি কাজ হল যে গন্ধে খুশী করা
কে তারে রাখে মনে ফুরালে হায় গন্ধ যে তার।।

হায় গো কিযে আগুন জ্বলে বুকের মাঝে
বুঝেও তবু বলতে পারিনা যে
আলেয়ার পিছে আমি মিছেই ছুটে যাই বারে বার।।

ও কেন এত সুন্দরী হল

Cm
ও কেন এত সুন্দরী হল অমনি করে ফিরে তাকালো
দেখেতো আমি মুগ্ধ হবই আমি তো মানুষ।।

সবে যখন আকাশ জুড়ে মেঘ জমেছে
ঝড় ওঠেনি বাতাসটাতে ঘোর লেগেছে
ও কেন তখন উড়িয়ে আচল খোল চুলে বাইরে এল
দেখেতো আমি মুগ্ধ হবই আমি তো মানুষ।।

সবে যখন প্রানে আমার মন জেগেছে
পৃথিবীটা একটু খানি বদলে গেছে
ও কেন তখন হঠাৎ এমন বিনা কাজে সামনে এল
দেখেতো আমি মুগ্ধ হবই আমি তো মানুষ।।

সেইতো আবার কাছে এলে

G#
সেইতো আবার কাছে এলে
এতদিন দুরে থেকে বলোনা কি সুখ তুমি পেলে।।

এ কেমন ভালবাসা কে জানে
কি ভেবে গো ব্যাথা দিলে এ প্রানে
নিজ হাতে মনি দ্বীপ নিভায়ে
আবার নিজেই দিলে জ্বেলে।।

তুমি তো আমায় ভালো চেনো
তুমি ছাড়া কোন গান ভাবতেও পারিনা তা জেন।

তবু যদি ভাব সবই ছলনা
সেই কথা মুখে কেন বলনা
ঝড়া মালা কেন দাও পড়ায়ে
ধুলিতে দাওনা তারে ফেলে।।

সে আমার ছোট বোন

মার স্নেহ কাকে বলে জানিনা বাবার মমতা কি বুঝতেনা বুঝতে
এবিরাট পৃথিবীতে দেখলাম সে ছাড়া আমার আর কেউ নেই
সে আমার ছোট বোন বড় আদরের ছোট বোন।।

ভল করে যখন সে কথা শেখেনি তখন থেকেই সে গেয়ে যেত গান
বাজনার হাত ছিল ভালই আমার তার সাথে বাজাতাম দিয়ে মোন প্রান
রাস্তায় ভীড় করে শুনতো সবাই অবাক হতযে কতো জ্ঞানী গুনী জন।।

ভোর বেলা তার গানে ঘুম ভাঙ্গতো রাতে তাকে বাজনায় ঘুম পাড়াতাম
ভাইয়ের বাজনা আর বোনের গানে সহজ সরল সেই দিন কাটাতাম
 ছোট্ট একটি ঘর এদুটি মানুষ এই ছিল আমাদের সুখের ভুবন।।

একদিন যখন সে একটু বড় প্রথম সুযোগ এল এক জলসায়
মুগ্ধ শ্রোতারা আর কণ্ঠ শুনে দুহাত ভরালো তার ফুলের তোড়ায়
ঘড়ে এসে আমায় সে করলো প্রনাম প্রথম ভরলো জলে আমার নয়ন।।

তার পর কিযে হল গান শুধু গান ছড়িয়ে পড়লো তার আরো বেশী নাম
শ্রোতারা উজার করে দিলো উপহার দিলোনা সময় শুধু নিতে বিশ্রাম
ক্লান্তির ক্ষমা নেই দের কাছে আরো বেশী দিতে হবে বুঝে নিলো মোন।।

একদিন শহরের সেরা জলসা সেদিনই গলায় তার দারুন জ্বালা
তবুও শ্রোতারা তাকে দিলো ছুটি শেষ গাইলো সে পড়ে শেষ মালা
শিল্পের জন্যই শিল্পি শুধু এছাড়া নেইযে তার অন্য জীবন।।

নীরব হল ছোট বোন বড় আদরের ছোট বোন
তার গান থেমে গেছে নেই শ্রোতা আর
আমি একা বসে আছি স্মৃতি নিয়ে তার
আনন্দ নিয়ে গেছে ওরা সকলেই দুঃখটা হোক আজ শুধুই আমার
অনুযোগ এত নয় এই শিল্পির ভাইবোন সকলেরই ভাগ্য লিখন।।

কফি হাউসের সেই আড্ডাটা D#

কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
কোথায় হাড়িয়ে গেল সোনালী বিকেল গুলো সেই।।

নিখিলেশ প্যারিসে মইদুল ঢাকাতে নেই তারা আজ কোন খবরে
গ্রান্ডের গিটারিষ্ট গোয়ানিস ডিসুজা ঘুমিয়ে আছে যে আজ কবরে
কাকে যেন ভালবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে পাগলা গারদে আছে রমারায়
অমলটা ধুগছে দুরন্ত ক্যানসারে জীবন করেনি তাকে ক্ষমা হায়।।

সুজাতাই আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে শুনেছি তো লাখপতি স্বামী তার
হীরে আর জহরতে আগা গোড়া মোড়া সেগাড়ি বাড়ি সব কিছু দামী তার
আর্ট কলেজের ছেলে নিখিলেশ শান্যাল বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকতো
আর চোখ ভরা কথা নিয়ে নির্বাক স্রোতা হয়ে ডিসুজা টা বসে সুধু থাকতো।।

একটা টেবিলে সেই তিনচার ঘন্টা চারমিনার ঠোটে জ্বলতো
কখোনো বিষ্ণু দে কখোনো জামিনী রায় এই নিয়ে তর্কটা চলতো
রোদ ঝড় বৃষ্টিতে যেখানেই যে থাকুক কাজ সেরে ঠিক এসে জুটতাম
চারটেতে শুরু করে জমিয়ে আড্ডা মেরে সাড়ে সাতটায় ঠিক উঠতাম।।

কবি কবি চেহারা কাধেতে ঝোলানো ব্যাগ মুছে যাবে অমলের নামটা
একটা কবিতা তার হলনা কোথাও ছাপা পেলনা সে প্রতিভার দামটা
অফিসের সোসালে ম্যামেচার নাটকে রমারায় অভিনয় করতো
কাগজের রিপোর্টার মইদুল এসেরোজ কি লিখেছে তাই শুধু পড়তো।।

সেই সাতজন নেই আজ টেবিলটা তবু আছে সাতটা পেয়ালা আজো খালি নেই
একই সে বাগানে আজ এসছে নতুন কুড়ি শুধু সেই সেদিনের মালি নেই।
কতো সপ্নের রোদ ওঠে এই কফি হাউজে কত সপ্ন মেঘে ঢেকে যায়
কতজন  এলো গেল কতজনই আসবে কফি হাউজটা শুধু থেকে যায়।।